করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়তে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায় ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের সার্বিক চিত্র এক নজরে দেখা যাক।
বাজেটের আকার বাড়ছে
ঘোষিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ও অনুন্নয়ন ব্যয় ৩ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫.৩ শতাংশ।
আয় ও ঋণের লক্ষ্যমাত্রা
আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি। যেখানে বৈদেশিক অনুদান নেওয়া হবে মাত্র ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে নেওয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ জোর
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাজেটে বিশেষ জোর প্রদান করা হবে স্বাস্থ্য খাতে। আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৭.৪ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার বরাদ্দ ছিল।
দাম কমবে যেসব পণ্যের
ক্যানসারের ওষুধ, অগ্নিনির্বাপণ পণ্য, পাউরুটি, বনরুটিসহ বেকারী পণ্য, দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেল, কৃষি যন্ত্রপাতি, আমদানিকৃত কম্পিউটার।
দাম বাড়বে যে সব পণ্যের
মোবাইল টকটাইম, আমদানিকৃত মোটরসাইকেল, চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার, বিড়ি ও সিগারেট, প্রসাধণ সামগ্রী, অনলাইন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম।