প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হলেও বাৎসরিক বাজেটে প্রবাসী কর্মীদের জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না। বেসরকারি সংস্থা ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকুপ) এর তথ্য অনুযায়ী প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য চলতি অর্থবছরে মাত্র ৪৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে কম। তবে বাজেটে প্রবাসীদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। সামগ্রিক বাস্তবতায় এবং বৈধ পথে প্রবাস আয় প্রেরণকে উৎসাহিত করতেেএতে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বাজেটে প্রবাসীদের সম্পর্কে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও ২০২০ সালে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন বাংলোদেশি কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলাদেশ পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড, আলবেনিয়া, রোমানিয়া, বসনিয়া-হারজেগোবিনা, এবং এশিয়ার উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও কম্বোডিয়ায় নতুন শ্রমবাজার হিসেবে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। নারী কর্মীদের সম্পর্কে বলা হয়, গত ২০২০ সালে মহামারি করোনার মধ্যেও ২১ হাজার ৯৩৪ জন বাংলাদেশি নারীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে প্রবাস আয় হয়েছে ২২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৪০ দশমিক ১ শতাংশ।
মূলত প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রবাস আয়োর ওপর ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখা এবং অর্থ পাঠনোর প্রক্রিয়া সহজ করার ফলে প্রবাস আয়ের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাজনিত কারণে রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে দেশ যখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন প্রবাস আয়ের অভাবনীয় সাফল্য দেশবাসীকে স্বস্তির মধ্যে রেখেছে।
সামগ্রিক বাস্তবতায় ও বৈধ পথে প্রবাস আয় প্রেরণকে উ’সাহিত করতে তাই ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাস আয় বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহ কর্তৃক বিশেষ প্যাকেজ কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও বাজেটে বলা হয়েছে।