ব্যয় সংকোচনের নামে প্রযুক্তি খাতে গত বছর থেকে চলছে কর্মী ছাঁটাইয়ের উৎসব। সে পথ ধরলো সুইডেনভিত্তিক টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এরিকসন। বহুজাতিক এ কোম্পানি সারা বিশ্বে সাড়ে আট হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বার্তাসংস্থা সিএনএনের এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এরিকসন ৮৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার ব্যয় কমাতে চায়। এ কারণে কর্মী ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি। সাড়ে আট হাজার কর্মীর মধ্যে সুইডেনেই ছাঁটাই করা হবে ১ হাজার ৪০০ কর্মী।
বিশ্বের অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানির মতো এরিকসনের আয়ও গত বছর অনেকটা কমে গেছে। নিট মুনাফা কমেছে ১৭ শতাংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বেই অর্থনীতির ধীরগতি এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপে বিভিন্ন খাতে খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে এরিকসন।
শুরুতে জানা যায়, ৮ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে পারে তারা। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সাড়ে আট হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধেই সিংহভাগ ছাঁটাই হবে। তবে এ প্রক্রিয়া ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলতে পারে।
বিবৃতির মাধ্যমে এরিকসন জানায়, কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়মনীতি মেনে চলা হবে। সে অনুযায়ী বাজারভেদে একেক দেশে একেক পরিমাণ কর্মী কমানো হবে। আর পুরো বিষয়টি করা হবে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে, যথাযথ সম্মান ও পেশাদারি বজায় রেখে। স্থানীয় শ্রম আইন অনুসারে তা বাস্তবায়ন করা হবে। কর্মীরাই সবার আগে এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানবেন।
এরিকসনের মুখপাত্র জেনি হেডেলিন বলেন, ‘অবকাঠামো খাতের খরচ আরও কমাতে চাই আমরা। পাশাপাশি পরিষেবা সরবরাহ, রিয়েল এস্টেট ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও কাজ করছি আমরা। এসব বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দুঃখজনকভাবে অনেক কর্মীকে বিদায় বলতে হবে। ধারণা করছি, এতে সাড়ে আট হাজার কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
২০২২ সালের শেষ নাগাদ এরিকসনে কর্মীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫২৯। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকাতে ছিল ১১ হাজার ৯৯৪ জন।