মার্চ ৩১, ২০২২, ০৯:৫১ এএম
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ চলছে বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের সাইবার গোয়েন্দা সংস্থাগভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেডকোয়ার্টার্স (জিসিএইচকিউ)। সংস্থাটির দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ান সৈন্যরা কখনও কখনও ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাদের আদেশ মানতে অস্বীকার করে বিদ্রোহ করেছে। আবার ‘ভুলক্রমে’ নিজেদের বিমানেই গুলি চালিয়েছে তা ভূপাতিত করেছে।
জিসিএইচকিউ’র ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আমরা রাশিয়ান সৈন্যদের অস্ত্র এবং মনোবলের ঘাটতি দেখেছি, তারা আদেশ পালন করতে অস্বীকার করে, তাদের নিজস্ব সরঞ্জাম নিয়ে নাশকতা করে এবং এমনকি তাদের নিজস্ব বিমানকেও গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
জিসিএইচকিউ’র ডিরেক্টর স্যার জেরেমি ফ্লেমিং বলেন, রাশিয়ায় সাইবার-আক্রমণের মাধ্যমে ইউক্রেনকে দমিয়ে রাখার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। রাশিয়ার সাইবার আক্রমণকারীরা তাদের বিরোধী দেশগুলির লক্ষ্যবস্তু খুঁজছে। তিনি আরও বলেন, “পুতিনের উপদেষ্টারা তাকে সত্য জানাতে ভয় পাচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা এবং রাশিয়ার ১৬ হাজার ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের ১ হাজার ৩৫১ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।