রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ সৈন্য

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২, ১২:৩৬ পিএম

রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ সৈন্য

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির রাজধানী কিয়েভের কাছে রুশ আর্মির তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব-এই তিন দিক দিয়েই ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। স্থলপথ,আকাশপথ এবং নৌপথ তিনভাবেই আক্রমণ করা হচ্ছে। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তিন দিকেই ইউক্রেনের সেনারা শক্ত প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশটির সকল নাগরিকদের দেশ রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলেছেন। শুক্রবার ভোরে কিয়েভের কাছে রুশ মিসাইল হামলার কথা স্বীকার করেছে ইউক্রেন। হামলার পর সেখানে নতুন করে কয়েকজন নিহত হয়েছে এবং যুদ্ধস্থল থেকে হাজার হাজার লোক পালিয়ে গেছে। রুশ ট্যাংক বহর রাজধানী কিয়েভমুখি হওয়ার সময়ই বিমান হামলা এবং ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাটিকে মাটির সঙ্গে মিশে দিয়েছে রাশিয়া। অব্যাহত হামলার মুখেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তিনি স্বীকার করেছেন, নাশকতাকারীরা কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। এর আগে পশ্চিমা গোয়েন্দারা এমনই সতর্কতা দিয়ে বলেছিলেন, কিয়েভ দখলে রুশ সৈন্য জড়ো হচ্ছে।

চেরনোবিলের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেও রুশ সৈন্যদের সাথে ইউক্রেন সেনাদের সংঘর্ষ হয়। তবে সামান্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম হন তারা। বৃহস্পতিবারই ওই পারমানবিক কেন্দ্রের দখল নেয় রুশ সৈন্যরা। প্রথম দিন দেড় শতাধিক নিহত হলেও মৃত্যুর হার এখন কিছুটা কমে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ হামলার কারণে জীবন বাঁচাতে নিজ দেশ থেকে প্রতিবেশী দেশ পোলান্ড, মালদোভা, রুমানিয়া ও হাঙ্গেরিয়াতে পালিয়ে গেছেন ১ লাখ ইউক্রেনিয়ান। ৩০ লাখ বাসিন্দার শহর রাজধানী কিয়েভ থেকে দলে দলে লোকজন আশ্রয় নিচ্ছেন মেট্রো স্টেশন, বোমা থেকে বাঁচতে তৈরি করা আশ্রয় কেন্দ্র এবং মাটির নিচে । সেভেলটানা নামে এক ইউক্রেনিয়ান নাগরিক একটি বার্তা সংস্থার কাছে বলেছেন, “অনেক ইউক্রেনিয়ানই এখনও বুঝতে পারছে না তারা আসলে কি করবেন, কোথায় যাবেন, কোথায় গেলে নিরাপদ আশ্রয় পাবেন।”

 

যদিও যুদ্ধ শুরুর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হুশিয়ারী দিয়ে বলেছিলো, ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হলে তা গোটা ইউরোপেই শরনার্থী সংকট বাড়িয়ে দেবে। পুতিনকে টেলিফোনে হামলা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। হামলা বন্ধ না করলে আরও কঠোর অবরোধের কথা বলেছেন ম্যাকরণ। যদিও এসবের কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না পুতিন। যুদ্ধ শুরুর আদেশ দিয়ে পুতিন বলেছেন, কোন বিদেশী শক্তি রাশিয়াকে ধামানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক কঠোর জবাব দেওয়া হবে, যা কোনদিন তারা দেখেননি। এরপরই ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলেনবার্গ জানান, ইউক্রেনে কোন সৈন্য ন্যাটো পাঠাবে না। অথচ এই ন্যাটোর সদস্য হতেই এতোদিন ইউক্রেন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো।

 

আরও পড়তে পারেন-

 

প্রযুক্তি, অর্থনীতিসহ বেশ কয়েকটি খাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

 

Link copied!