ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটো চাপ দিলেও ক্রেমলিনের সাথে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরষ্ক।
তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গতকাল শুক্রবার তুরস্কভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি ওয়ার্ল্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
আরটির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র আঙ্কারার ‘রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার’ কোনো পরিকল্পনা নেই বলে স্পষ্ট করেছেন। তুর্কি সরকার সবার সঙ্গে ‘বিশ্বাসের জায়গা’ ধরে রাখতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে তুরস্ক তার নিজস্ব অর্থনীতির জন্য কোনো সংকট ডেকে আনতে চায় না বলে জানিয়েছেন ইব্রাহিম কালিন।
এদিকে রাশিয়ার ৩৮৬ জন সংসদ সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের জবাবে বরিস জনসন সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গত মাসে পূর্ব ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে এসব সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছিলেন। এবার তাদের সম্পদ জব্দ ও রাশিয়ায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য বলছে, দোনেৎসক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতির মাধ্যমে ইউক্রেনে অভিযানের অজুহাত বের করেছে রাশিয়া।
গত মাসে রুশ এমপিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ব্রিটেন। এসব এমপিরা যুক্তরাজ্যে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের অভিযানে যারা সহায়তা করেছেন, যারা যুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে, নিষেধাজ্ঞায় তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।