ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের একটি বৃহৎ ইস্পাত কারখানার ভেতরে অবস্থান করা নিজেদের সৈন্যদের কোনো ক্ষতি হলে শান্তি আলোচনা থেকে সরে আসবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি’র খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, মারিউপোলের যোদ্ধাদের হত্যা করলে শান্তি আলোচনা আর চালিয়ে যাবে না কিয়েভ।”
গত সপ্তাহে ইউক্রেনীয় সেনাদের ওই দলটিকে আত্মসমর্পণের জন্য রুশ বাহিনী আলটিমেটাম দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আত্মসমর্পণ করা যোদ্ধাদের জীবন রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল পুতিন প্রশাসন। তবে ওই আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় গত বুধবার ফের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেয় রাশিয়া। তারপরও আত্মসমর্পণের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইউক্রেনিয় যোদ্ধারা।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।