বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে বেশকিছু নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে:
করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে করোনা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসতেন। তবে এবারের নতুন নির্দেশনা করোনা আক্রান্তদের নিজ জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মানুষ যে স্থানেই করোনা আক্রান্ত ও শনাক্ত হবে, সেই স্থানের আশেপাশে থাকা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। যথাযথ ব্যাখ্যা ছাড়া কোনো রোগীকে ঢাকায় পাঠানো যাবে না। কারণ এটি ওমিক্রন ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই করবে না।
এছাড়াও নতুন নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- টিকার সনদপত্র থাকলেও বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আগতদের বাধ্যতামূলক অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে।
গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সব সিভিল সার্জন এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এসব নির্দেশনা আসে। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বে ওমিক্রনের বিস্তার ঘটেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা কমিয়ে দেওয়ায় গত এক সপ্তাহ সংক্রমণ বাড়ছে। বৈঠকে সারাদেশে হাসপাতালগুলোকে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর স্থানীয় হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা নিতে হবে। কোনো রোগীকে ঢাকায় পাঠানোর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকদের ফরোয়ার্ডিং লাগবে। ফরোয়ার্ডিং ছাড়া অন্য জেলার রোগীদের ঢাকায় পাঠানো যাবে না।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে চাপ কমিয়ে আনতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ কোনো জেলা থেকে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।