সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০৩:২১ পিএম
যখন তিস্তার পানি দিচ্ছে না তখন প্রধানমন্ত্রী ভারতে নেচে-গেয়ে উৎসব করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রাজনীতি পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র সাবেক ছাত্র ও জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক মো. হারুন-অর-রশিদ ওই বইটির লেখক।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “যখন দেশের মানুষকে সীমান্তে হত্যা করছে, তিস্তার পানি দিচ্ছে না তখন প্রধানমন্ত্রী ভারতে নেচে-গেয়ে উৎসব করছেন। আসলে তারা দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে।”
বইটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “যখন দেশে ইতিহাস বিকৃতির সুপরিকল্পনা চলছে, সেই মুহূর্তে এমন বই লিখে প্রকাশ করা কঠিন কাজ এবং প্রশংসনীয়। সাধারণত, এ ধরনের বই গ্রহণযোগ্য হয় যখন নির্মোহভাবে লেখা হয়।” লেখক রাজনীতি করলেও ইতিহাসের আলোকে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করলেও স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারিনি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “স্বাধীনভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারিনি। আমরা জাতি হিসেবে এখানে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছি। ১৯৭২ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্লজ্জভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে। তারা ভোটের বাক্স তুলে নিয়ে গেছে। সেই তখন থেকেই দুর্বৃত্তায়নের শুরু।”
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ভারতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেচে গেয়ে উৎসব করেছেন। যখন দেশের মানুষকে হত্যা করছে, তিস্তার পানি দিচ্ছে না তখন তিনি ভারতে গিয়ে কী আনলেন? আমরাও তো ভারতের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক চাই। আসলে সরকার মানুষকে প্রতারিত করছে। তারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।”
দেশের কোথাও কোনো বিচার নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আজকে আমাদের নেতাকর্মীদের আবারও মারধর করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। অনেককে হত্যা ও আহত করা হয়েছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বইটির লেখক ও কলামিস্ট মো. হারুন-অর-রশিদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল।