বেটা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৪:৩৮ পিএম
গত ৬ ফেব্রয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা। ওইসব এলাকায় এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের ১০টি প্রদেশ। ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরেও দেশটিতে ঘটছে একের পর এক অলৌকিক ঘটনা।
তুরস্কে উদ্ধারকারীরা সোমবার ধসে পড়া ভবন থেকে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন এবং একই পরিবারের তিন সদস্য দাদি, মা ও মেয়েকে উদ্ধারের জন্য খনন করছে।
তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও জীবিত ব্যক্তি খুঁজে পাওয়ার আশা হ্রাস পাচ্ছে। দুইদেশে এ পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৬৪৩ জনের। অন্যদিকে সিরিয়ায় পাঁচ হাজার ৭৪১ জন নিহত হয়েছেন।
বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের কংক্রিট সরালেই মিলছে লাশ।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুসংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে যে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।
জাতিসংঘের সাথে সুর মিলিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’ও একই কথা বলছে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ছয় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ানতেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়ে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
