করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাকে বুস্টার ডোজের জন্য সেরে উঠার অপেক্ষা করতে হবে। কোডিভ টিকার তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার নিতে হলে সেরে ওঠার অন্তত ছয় সপ্তাহ পর সেটি নিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম রবিবার নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান।
ডা. নাজমুল বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজ নিয়ে তারা বুস্টারের অপেক্ষায় আছেন, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে টিকা নিতে পারবেন না।
“যারা বুস্টার ডোজের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য মোবাইলে বার্তাও এসেছে, এমন ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের সেরে ওঠার ছয় সপ্তাহ পর সেই ডোজ নিতে হবে।”
বাংলাদেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। ঠিক দুই মাস পর গত বছরের ৮ এপ্রিল থেকে। আর গত ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১২‘র বেশি সবার টিকা, ৪০ বছর বয়সীরা পাবেন বুস্টার
যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, এবং যারা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছিল শুরুতে।
পরে ১৭ জানুয়ারি সেই বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। আর রোববার থেকে তা আরও কমিয়ে ৪০ বছর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনায় দেশে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্ত
যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত দেশে ৯ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৮ জন কোভিড টিকার অন্তত এক ডোজ পেয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৬ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৬২৫ জন পেয়েছেন দুই ডোজ টিকা। আর ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮৭ জন তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।