জামিন পেলেন অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০৬:৩৬ এএম

জামিন পেলেন অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক মো. হাম জালাল শেখের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে জামিন দিয়েছেন বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।  আসামি মো. হাম জালাল শেখ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।

জানা যায়, লঞ্চ অভিযান-১০ ঢাকা থেকে ২৩ ডিসেম্বর বরগুনা উদ্দেশ্য ছেড়ে এসে রাত ৩ টায় ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে ভাসমান অবস্থায় হঠাৎ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্য লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে যায়। এতে ৪৭ জন যাত্রী মারা যায় এবং ৭২ জন যাত্রী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। বহু যাত্রী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় জনস্বার্থে অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৬ ডিসেম্বর লঞ্চের মালিক মো. হাম জালাল শেখকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ঢাকার সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা মামলায় লঞ্চ মালিককে ২৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে। বরগুনা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে লঞ্চ মালিককে ৪ জানুয়ারি গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম ওই দিন মালিককে আদালতে শ্যোন এ্যারেস্ট গ্রেফতার দেখান।

আসামির পক্ষে ১ জানুয়ারি জামিনের আবেদন করলে বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত লঞ্চ মালিককে জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, আদালতে বলেছি, একই বিষয় নিয়ে একাধিক আদালতে মামলা চলতে পারে না। নৌযান সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার করার জন্য অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ধারা ৪৭ অনুযায়ী নৌ আদালত প্রতিষ্ঠিত করা হয়। উক্ত অধ্যাদেশের ৭৩ ধারা অনুযায়ী নৌযান সংশ্লিস্ট মামলার বিচার করার জন্য নৌ আদালতই উপযুক্ত। সেই আদালতে আসামি গ্রেফতার আছে। সেখানেই তার বিচার কার্য সম্পন্ন হবে।

আদালতে আরও বলেছি, বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৫(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারীতে সোপর্দ ও দণ্ডিত করা যাবে না। এছাড়া লঞ্চের ফিটনেস, রুট পারমিট সব কিছু সঠিক ছিল। আসামি ওই দিন লঞ্চে ছিল না। আসানি একজন বয়স্ক লোক। ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিল না। সার্বিক বিবেচনায় ম্যাজিষ্ট্রেট একজন বয়স্ক আসামিকে জামিন দিয়েছেন।

রাষ্ট্র পক্ষের সিএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, জামিনের বিরোধিতা করেছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করেন।

Link copied!