টিপ পরা যাবে না কোন আইনে আছে, প্রশ্ন সুবর্ণা মুস্তাফার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৩, ২০২২, ০২:৫৪ পিএম

টিপ পরা যাবে না কোন আইনে আছে, প্রশ্ন সুবর্ণা মুস্তাফার

“বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়...একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার তাকে টিজ করেছে।”

আজ রবিবার সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা এসব কথা বলেন। তিনি ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন।

কপালে টিপ পরার কারণে শনিবার হেনস্তার শিকার হয়েছেন তেজগাঁও কলেজের এক নারী প্রভাষক। হেনস্তাকারীর ভূমিকায় ছিলেন একজন পুলিশ সদস্য। ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। সংসদে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বিষয়টি। এ নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা।

সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, “দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত ঘৃণিত একটি ঘটনা। ইভটিজিং আমরা শুনে এসেছি। বখাটে ছেলেরা স্কুলের বাচ্চাবাচ্চা মেয়েদের ইভটিজ করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইনরক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখি, তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

এ ঘটনায় অভযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, “যে মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি দেখা-শোনা করে তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।”

উল্লেখ্য, শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাচ্ছিলেন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। এ সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল পুলিশের পোশাক।

এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে উল্টো প্রভাষকের পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যান ওই ব্যক্তি। এরপর শেরেবাংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ড. লতা সমাদ্দার।

Link copied!