বিশ্বের ৫০০ স্টার্টআপের মধ্যে সেরা স্টার্ট আপ হিসেবে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত ভেন্টিলেটর ‘অক্সিজেট’। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি (বিএমইএস) আয়োজিত ডিজাইন প্রতিযোগিতাতেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘অক্সিজেট’।
অক্সিজেট প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা ড. তওফিক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন ফোরাম স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা ‘ইমাজিন ইফ’ আয়োজন করে থাকে। গত ১১ নভেম্বর স্পেনের বার্সেলোনায় গ্লোবাল ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বুয়েটের অক্সিজেটকে ‘গ্লোবাল উইনার’ ঘোষণা করা হয়। এতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কোনো স্টার্টআপ ‘ইমাজিন ইফ’ প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করল।
বিশ্বব্যাপী ৫০০ টিরও বেশি স্টার্টআপের মধ্যে আয়োজিত আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকারীদের মধ্য থেকে সেরা ১৫টি স্টার্টআপ চূড়ান্ত রাউন্ডে নির্বাচিত হয়।
এ বছর আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের সেরা ১০টি স্টার্টআপের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অক্সিজেট দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচিত হয়। গ্লোবাল ফাইনালে অন্য প্রতিযোগীরা ছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মূলত যুক্তরাজ্য থেকে।
‘ইমাজিন ইফ’ প্রতিযোগিতায় বিচারক প্যানেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার হেড অব ইনোভেশনসহ বেশ কয়জন আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য স্বাস্থ্য বিশারদ উপস্থিত ছিলেন। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বুয়েটের ডিভাইসটির অগ্রগতি এবং জনসাধারণের জন্য এর প্রত্যক্ষ প্রভাবের কারণে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে অক্সিজেটকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি (বিএমইএস) আয়োজিত বিএমইএস-মেডট্রনিক আন্তর্জাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাইকৃত কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সেরা তিনটি প্রকল্পের মধ্যে বুয়েটের অক্সিজেট নির্বাচিত হয়।
চূড়ান্ত পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটি, লস অ্যাঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া এবং বুয়েট অংশগ্রহণ করে। বিশেষজ্ঞ বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে বুয়েটের অক্সিজেটকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করল।