নভেম্বর ১৮, ২০২১, ০৩:০১ এএম
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দূর্ঘটনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৭৫৮ জন। তবে মৃতদের তালিকায় অল্পবয়েসীদের সংখ্যাই বেশি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অল্প বয়সী কিশোর-তরুণরা বেশি মারা যাচ্ছে। গত ১০ মাসে এসব দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৭ জন। এই সংখ্যা মোট মৃত্যুর ৭৫ ভাগ। মৃতদের মধ্যে ৬৬৯ জন শিক্ষার্থী ও ৭২ জন শিক্ষক রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ১৫১ পথচারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি ঘটেছে তা হলো অন্য বড় যানবাহন কর্তৃক মোটরসাইকেলকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া। মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার মোট ৪৩ দশমিক ২৫ ভাগই ঘটেছে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় । চলতি বছরের শুরু থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭১৫টি। এছাড়া, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ৩৪৯টি (২১ দশমিক ১১ ভাগ), মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ৫৮৩টি (৩৫ দশমিক ২৬ ভাগ) এবং অন্যান্য কারণে মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা ৬টি (শূন্য দশমিক ৩৬ ভাগ)।
দুর্ঘটনার ১২টি কারণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের প্রতিবেদনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে- কিশোর-যুবকদের বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো, অতি উচ্চগতির মোটরসাইকেলের সহজলভ্যতা, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা না থাকা, পারিবারিকভাবে সন্তানদের বেপরোয়া আচরণ প্রশ্রয় দেওয়া, রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সংস্কৃতি।
বিকেলে ঘটে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা
দিন ও রাতের সময় বিশ্লেষণ করে ফাউন্ডেশনের হিসাবে বলা হয়, মোটরসাইকেলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে বিকেলে (২৬ দশমিক ৩৭ ভাগ)। এ ছাড়া সকালে ২৩ দশমিক ৩৫ ভাগ, দুপুরে ১৭ দশমিক ৬০ ভাগ, সন্ধ্যায় ১১ দশমিক ৯৭ ভাগ ও রাতে ১৯ দশমিক ৬০ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে।সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটে ভোর বেলায়। এসময় ১ দশমিক শূন্য ৮ ভাগ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।
গত ১০ মাসে ২ হাজার ৭৪৯টি যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ১ হাজার ৭১৯টি বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।