কক্সবাজারে আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সপ্তম দফায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ৬০নং সাক্ষী এসআই কামাল হোসেনের মধ্যদিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
সিনহা হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমে সাক্ষ্য দেবেন-এসআই মো. কামাল হোসেন, কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, সার্জন আয়ুব আলী, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, পুলিশ পরিদর্শক এ বি এম শামসুদ্দোহা ও সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম গণমাধ্যমে জানান, সোমবার (১৫ নভেম্বর) অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার সপ্তম দফায় প্রথম দিন সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ (১৫ নভেম্বর) ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
সিনহা খুনের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ বাদী হয়ে ৩টি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায় ও একটি রামু থানায়। অন্যিদিকে, খুনের ৫ দিন পর কক্সবাজার আদালতে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরে ৪টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে পুলিশের ৯ সদস্যরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।
অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। আসামিদের ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওসি প্রদীপ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।