সেই বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ১৪, ২০২১, ০৪:৫৩ পিএম

সেই বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার

বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়েছে ধর্ষণের পর ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে মামলা না নেওয়ার ‘নির্দেশনা’ দেওয়া বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। রবিবার (১২ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিচারপতি কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হতে অদ্য ৯:৩০ ঘটিকায় আইন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে, ওই বিচারপতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক হিসেবে বনানীর রেইনট্রিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি ওই ‘নির্দেশনা’ দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ে প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দেন।

সেসময় রায়ের পর্যবেক্ষণে ধর্ষণের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে আলামত পাওয়া যায় না উল্লেখ করে রায়ের পর্যবেক্ষণে ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের মামলা না নিতে পুলিশকে ‘পরামর্শ’ দেন এই বিচারক।

বিচারপতির এমন বক্তব্য অসাংবিধানিক বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আদালতের এমন পর্যবেক্ষণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশের সুশীল সমাজ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

এই পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তা ফেসবুকে প্রকাশ করেন প্রখ্যাত আইনজীবী জেড আই খান পান্না। ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায় রয়েছে। (মামলার রায়ে আসামিদের) বেকসুর খালাস সম্পর্কে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কিন্তু একটি জায়গায় আমি খুবই মর্মাহত।

Link copied!