জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৬ তম জাতীয় কবিতা উৎসব। জাতীয় কবিতা পরিষদের এ আয়োজনে এবারের স্লোগান—‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’। আর্জেন্টিনা, নেপাল, জার্মানি, ইরাক, ফিলিপাইনসহ আরও কয়েকটি দেশের কবিরা এতে অংশ নেবেন। উৎসবে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারসংলগ্ন চত্বরে (হাকিম চত্বর) এবারের জাতীয় কবিতা উৎসবের আয়োজন করা হবে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দ্বিতীয় তলায় উৎসব দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। এতে বলা হয়, ‘ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারসংলগ্ন চত্বরে ৩৬তম জাতীয় কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া জাতীয় কবিতা উৎসব ও জাতীয় কবিতা পরিষদের নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস কারও অজানা নয়।
আমরা অব্যাহতভাবে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ব্যক্তিদের বিচারের কথা বলে এসেছি। কবিদের দ্রোহের স্ফুলিঙ্গ থেকে জন্ম নিয়ে এ উৎসব জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এ উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এ উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ। জাতীয় কবিতা উৎসবের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আজকের প্রজন্মের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয় যে কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কবিতা উৎস হয়েছে। আমরা পথে পথে মানুষের কাছে সহযোগিতা পেয়েছি। সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, প্রকাশক সবাই যে যা পেরেছেন, আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে; কবিরা প্রাচীনকাল থেকেই শান্তির পক্ষে ছিল।