জুন ১১, ২০২৩, ০১:৪৬ এএম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নিয়ে এসেছেন এবং তাকে জাতীয় কবি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের `আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি` এটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আমাদের কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন আমাদের সাথে আছেন তখন আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেমে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ পিছিয়ে যেতে পারে না। বঙ্গবন্ধু দুই কবির চিন্তাভাবনার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি পরিচয় দিয়েছেন, তিনি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। জাতীয় কবির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতা নিয়ে বাঁশি, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে এসেছেন বলেই সংস্কৃতি বেঁচে গেছে। সংস্কৃত কর্মীরা বেঁচে গেছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিকেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ৭৫ পরবর্তী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি সংস্কৃতিকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য তিনি প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও সংস্কৃতিকে কখনো পাশ কাটিয়ে যাননি। সবসময় পাশে ছিলেন। নজরুলকে সব সময় স্মরণ করতে হবে।তাহলে সংস্কৃতি অন্ধ, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছায়ায় ঢেকে যাবে না। যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতা নিয়ে বাঁশি, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলা একাডেমীর পরিচালক ডক্টর শাহাদাত হোসেন নিপু বক্তৃতা করেন। `বৈতরণী` আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।