পুরোনোকে বিদায় জানাতে পালন হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০৪:৫১ পিএম

পুরোনোকে বিদায় জানাতে পালন হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি

চৈত্র মাসের শেষ দিন (১৩ এপ্রিল) পালিত হয় পুরনো বছরকে বিদায় জানানোর দিন হিসেবে। পহেলা বৈশাখে নতুন বাংলা বর্ষকে আমন্ত্রণ জানাতে পুরনোকে বিদায় জানানোর থাকে নানা আয়োজন। সেই আয়োজনের নাম চৈত্র সংক্রান্তি।

আবহমান বাংলার চিরায়ত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এ চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করতে প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে থাকে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজন।

মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।

আগামীকাল শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নতুন বাংলা বর্ষ-১৪৩০-এর প্রথমদিন। পহেলা বৈশাখের উৎসব-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজিত হবে এ দিনটি। এর আগে আজ চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় নতুন ভোরের অপেক্ষার শুরু হবে।

বাংলা বছরের শেষ এ দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্যদিয়ে অন্যরকমভাবে দিনটি পালন করেন তারা।

এ দিন বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন, প্রস্তুতি নেন পুরনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার। নতুন বছরের প্রথম দিনে খোলা হয় এ হালখাতা।

চৈত্র সংক্রান্তির মেলা উপলক্ষে গৃহস্থরা মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করেন। এ দিন নতুন পোশাক পরার রীতিও আছে।

পুরনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালিরা। সব জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনাকে বিদায় জানিয়ে, সব অন্ধকারকে সরিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ধারণ করবে নববর্ষের প্রথম দিনে।

Link copied!