জুলাই ৩১, ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম
অতীতের মতো হামলা করে মামলা দিয়ে এবারের আন্দোলন দমন করা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছে। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে রাজনৈতিক কৌশল বদলে রাজপথে মোকাবেলা করবেন। সরকারের পতন ঘটিয়েই ঘরে ফিরবেন তাঁরা।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
গত শনিবার ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা নির্যাতন ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই জনসমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা বিএনপি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েক দিনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানসহ বহু নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। কেবল কৃষক দলেরই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘আওয়ামী লীগ পচে–গলে দেশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে’ মন্তব্য করে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করে আন্দোলন দমিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু সরকারের পতন ছাড়া আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি হারুন আল রশীদ বলেন, তারা ভেবেছে অত্যাচার করে, হামলা চালিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেবে। কিন্তু হামলা করে জুলুম করে এই আন্দোলন থামানো যাবে না।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, শুক্রবার নয়াপল্টনের বড় সমাবেশ থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্ববাসী দেখেছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ৪০ জন গুলিতে আহত হয়েছে। চিকিৎসারত অবস্থায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এবং গয়েশ্বর, আমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে মনে করেছে কর্মসূচি বানচাল করে দেবে। যাঁরা অতি উৎসাহী হয়ে হামলা চালাচ্ছেন, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। পুলিশের যারা দায়িত্বে তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী, দলের কর্মী নয়।
গত শনিবার সরকার ও সরকারের পেটোয়া বাহিনী যে নাটক করেছে, তা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা। তিনি বলেন, ‘যে কোনো সময় ঢাকাসহ পুরো দেশ অবরোধ করা হবে। সরকারের পতন ঘটিয়েই ঘরে ফিরে যাব।’
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী বলেন, তারা কাপুরুষের মতো দলের নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। হামলা, গ্রেপ্তার করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। তাদের অবহিত করেছি। তারপরেও পুলিশ লীগ নির্বিচারে হামলা করেছে, গ্রেপ্তার করেছে। যুবলীগ–ছাত্রলীগের অনেকে পুলিশের পোশাক পরে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’