সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম
নিখোঁজের ২৯ দিন পর ফরিদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম পুলিশের কাছে মুখ খুলেছেন। উদ্ধারের ১৬ ঘণ্টা পর খুলনার আলোচিত এই গৃহবধূ রহিমা বেগম (৫২) জানালেন, গত ২৭ আগস্ট রাতে পানি আনতে গেলে তাকে অপহরণ করা হয়। চার ব্যক্তি তাঁকে জাপটে ধরে নাকে রুমাল চেপে ধরলে তিনি অজ্ঞান পড়েন। এরপর আর কিছুই জানেন না তিনি।
রবিবার বিকেলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বিকেল ৪টার দিকে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে এতথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, শনিবার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর থেকে কোনো কথাই বলছিলেন না রহিমা বেগম। বেলা ১টার দিকে তাঁর সন্তানের মুখোমুখি আনা হলে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, তাঁকে চারজন মিলে অপহরণ করে নিয়ে যান। কিন্তু তাদের সম্পর্কে এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেসম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি। অপহরণকারীরা এক পর্যায়ে সাদা (খালি) স্ট্যাম্পে কিছু স্বাক্ষর নিয়ে তাকে একটা নির্জন জায়গায় ছেড়ে দেন। কিন্তু জায়গাটা কোথায় সেটা তিনি বুঝতে পারেননি।
রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর হয়ে পূর্বপরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে যান। কিন্তু তাঁর কাছে কোনো মোবাইল নম্বর না থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
এসপি সৈয়দ মোশফিকুর রহমান আরও বলেন, “রহিমা বেগমের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতের নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু করা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে পানি আনতে যেয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।