‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচারের ঘটনায় আল-জাজিরা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তফা সোয়াগসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আইনগত বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে এ শুনানি হয়।
শুনানির সময় আদালত জানতে চান, বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এ দেশে মামলা চলতে পারে কি না? জবাবে আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, আমরা দণ্ডবিধির ৩ ও ৪ ধারা ব্যাখ্যা করে বলেছি, এ মামলা বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে চলতে পারে। এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলা গ্রহণের ক্ষমতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়।
শুনানির পর আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, আদালত আমাদের ব্যাখ্যা ইতিবাচভাবে নিয়েছেন। আশা করছি আদালত ব্যাখ্যা গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নেবেন। শুনানি শেষে মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন বিচারক।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।
আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন।
মামলায় উল্লেখ করা চার আসামি হলেন- আল-জাজিরা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তফা সোয়াগ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যান, শায়ের জুলকার নাইন ওরফে সামি এবং নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল।
ওই মামলার আবেদনের বিষয়ে অ্যাড. মশিউর মালেক বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী ও সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে যড়যন্ত্র করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল।’ এসব কারণ দেখিয়ে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১৪৯,/৩৪ ধারায় মামলার আবেদনটি করা হয়।