ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর দেশে দাম বেড়েছে সারের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২, ২০২৩, ১০:৩০ পিএম

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর দেশে দাম বেড়েছে সারের

আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা একশনএইড পরিচালিত একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের দাম অনেক বেড়েছে এবং এর ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে।  

রবিবার (২ জুলাই)  প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেকগুলো প্যারামিটারে বেড়েছে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

সমীক্ষাটি করা হয়েছে গত পয়লা মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে। এশিয়া, আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১৪টি দেশের মোট ১ হাজার ১০ জনের কাছে অংশগ্রহণকারীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখন গমের পণ্য, রান্নার তেল, পেট্রল, রান্নার জন্য গ্যাস, সার ও স্যানিটারি প্যাডের দাম কত ছিল। এসব পণ্যের ওই দামের সঙ্গে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের (যখন রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে) আগের দামের সঙ্গে তুলনা করা হয়।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেকগুলো মাপকাঠিতে বেড়েছে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি বিপদে ফেলেছে।

বাংলাদেশে সারের দাম ১০৫ শতাংশ, গম পণ্যের দাম ৭০ শতাংশ, চিনির দাম ৬০ শতাংশ, পেট্রলের দাম ৪৭ শতাংশ এবং স্যানিটারি প্যাডের দাম ২৩ শতাংশ বেড়েছে।

আর ১৪ দেশ মিলিয়ে গড়ে সারের দাম ১১৮ শতাংশ, গম পণ্যের দাম ১০১ শতাংশ, চিনির দাম ৫৯ শতাংশ, পেট্রলের দাম ৮০ শতাংশ এবং স্যানিটারি প্যাডের দাম ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে এসব পণ্যের দুই সময়ের দাম উল্লেখ করা হয়নি।

একশনএইডের গ্লোবাল পলিসি অ্যানালিস্ট আলবার্টা গুয়েরা বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি প্রান্তিক মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি বিপদ ডেকে আনছে। বিশেষত নারী ও কন্যাশিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু বিপর্যয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, কোভিড-১৯, ঋণের চাপ এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন থেকে শুরু করে একাধিক সংকটে রয়েছে বাংলাদেশ। এই কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জলবায়ু বিপর্যয়, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘জ্বালানির দামের অস্থিরতা সব ক্ষেত্রেই সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে খাদ্যের ওপর, যা নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বেশি মাত্রায় প্রভাবিত করে। যদি আমরা বাস্তব দৃষ্টিতে দেখি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এখন চাল এবং ডিমের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর জন্য আগের দামের প্রায় দ্বিগুণ মূল্য দিতে হচ্ছে। যার ফলে খাদ্য গ্রহণ কমেছে।’

Link copied!