২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঘরের ভেতর খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। হত্যাকাণ্ডের সময় এই দম্পতির একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘের বয়স ছিল মাত্র সাড়ে ৫ বছর। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর মেঘ তার নানি নূরণ নাহার মির্জাকে ‘আম্মা’ ডাকা শুরু করে। মেঘের সেই আম্মাও বুধবার সকাল সোয়া আটটার দিকে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন।
রুনির ভাই নওশের আলম বলেন, “আমরা এক এক করে সব অভিভাবক হারিয়ে ফেললাম। মেঘের সাড়ে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত আম্মাই দেখভাল করলেন। এখন মেঘও একা হয়ে গেল।”
নূরণ নাহার মির্জার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। কয়েক মাস ধরেই শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়। গত ২১ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। পরে ২ জানুয়ারি তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরদিন তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে পরিবারের সদস্যদের তার মৃত্যুর সংবাদ দেন।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। পরদিন ঘরের ভেতর থেকে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নওশের আলম শেরেবাংলা থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন।