মার্চ ২০, ২০২৩, ০৪:১২ পিএম
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আগে, গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।
কারাদণ্ড পাওয়া অপর ৪ আসামি হলেন-হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপিটিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, টেলিভিশনের সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।
এদিকে, এদিকে রায় ঘোষণার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন উপস্থিত না থাকায় তাদের পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
২০২১ সালের ২ আগস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জয়যাত্রা টিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন।
মামলারে অভিযোগে বলা হয়, ‘জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।’
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম। গত ১৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, হেলেনা জাহাঙ্গীর ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠন করে আলোচনায় আসেন। এরপর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৩ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এর আগের দিনগত রাতে র্যাবের একটি দল হেলেনার গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর বাসায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় বিদেশি মদ, ওয়াকিটকি সেট, ফরেন কারেন্সি (বিদেশি মুদ্রা), ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম এবং হরিণ ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।