ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ১০:২৭ পিএম
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটির অনুমোদন দেন।মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষে এ কমিটির নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন মাজহারুল করিম (শয়ন) ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তানভীর হাসান সৈকত।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর আহমেদ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রাজীবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন সজল কুন্ড।
সর্বশেষ সম্মেলন থেকে শীর্ষ পদে ফরিদপুর, বরিশাল, উত্তরবঙ্গ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের অনেক প্রার্থী সক্রিয় আছেন। কথিত আছে- ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে সবসময় নেতৃত্ব থাকেই।
তবে এবার অঞ্চল ছাপিয়ে করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে ছাত্রদের পাশে থাকা নেতারা বেশি আলোচনায় এসেছেন। এর মধ্যে ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’ দিয়ে সারাদেশের প্রশংসা কুড়ানো সাদ বিন কাদের চৌধুরী, অনলবর্ষী বক্তাখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং করোনায় ঢাবি ক্যাম্পাসে শ্রমজীবী মানুষকে খাবার দিয়ে প্রশংসিত তানভীর হাসান সৈকত ছিলেন আলোচনার শীর্ষে।
ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দৌড়ে ছিলেন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল থেকে বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, আইন সম্পাদক ফুয়াদ হাসান শাহাদাত, উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহেদ খান।
বরিশাল বিভাগ থেকে আলোচনায় ছিলেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন ও ইয়াজ আল রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়।
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ছিলেন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী,
খুলনা বিভাগ থেকে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় ছিলেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন।
ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, সহ-সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজী ছিলেন আলোচনায়।
উত্তরবঙ্গ থেকে ছিলেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
এছাড়াও আলোচনায় থাকা অন্যদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করা তিলোত্তমা শিকদার, শামীম পারভেজ, এহসান উল্লাহ পিয়াল, ইমরান জমাদ্দার, নিশাদ সাদিয়া খান মিলি, আল আমিন সুজন, এম এ সোহাগ, আহসান হাবীব।
প্রসঙ্গত, উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ৬ ডিসেম্বর। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যথারীতি কাউন্সিলরদের ভোটের পরিবর্তে এবারও তিনি নেতৃত্ব বাছাই করবেন। সম্মেলন শেষ হলেও তখন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগে, ২০১৮ সালের মে মাসে সম্মেলন হলেও একই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনটির সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি এ দুজন ‘ভারমুক্ত’ হন।