বিএনপি নেতারা বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, তাদের যুদ্ধ কী লুটপাট, দুর্নীতি আর অরাজকতা সৃষ্টির জন্য? বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এব বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,"কেউ কেউ আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলছেন; ডাইরেক্ট একশনের হুমকি দিচ্ছেন। আসলে পায়ের নিচে মাটি নেই বলে এসব তাদের নিজেদেরই ভয় তাড়ানোর নির্জীব হুংকার। তাদের যুদ্ধ কী লুটপাট, দুর্নীতি আর অরাজকতা সৃষ্টির জন্য?” দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়ছে বলেও তিনি জানান।
বিএনপিকে ‘স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক অপরাজনীতির উত্তরাধিকার’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “তাদেরকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের যে কোন ধরনের আস্ফালনকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করা হবে।“ জনগণ আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণের চলমান সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ বলেও তিনি জানান।
ইসি গঠনে সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন,“রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে শক্তিশালী ইসি গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করবে আওয়ামী লীগ।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে স্টেকহোল্ডার হিসেবে আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নেবে। একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শক্তিশালী কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের মতামত ও প্রস্তাবনা সংলাপে উপস্থাপন করা হবে।”
নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান উল্লেক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং কমিশনের কাজে সরকার কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করে না।“ আগামীতে যে কোন ধরনের নির্বাচনি সহিংসতা এড়াতে কমিশন এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনী আরও তৎপর থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।