ডিসেম্বর ৭, ২০২১, ১০:২৬ পিএম
বাংলাদেশ ও ভারতের চিন্তায় বড় কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের যে সোনালী অধ্যায় চলছে তা এগিয়ে নিতে আরও কিভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায় সে নিয়েই আলোচনা চলছে বলেও তিনি জানান।
মঙ্গলবার(৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে শ্রিংলা এসব কথা বলেন।
ঢাকা ও দিল্লির যৌথভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করাকে ঐতিহাসিক বিরল মুহূর্ত আখ্যা দিয়ে
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, “ভারতের সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। তাই দুই দেশের সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক।”
সড়ক, রেলের পাশাপাশি নৌপথে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এখন ভারতের সবচেয়ে অগ্রাধিকার উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির সাবেক এই হাইকমিশনার অঅরও বলেন, “বাংলাদেশ দশক ধরে বিশাল উন্নয়ন সাধন করেছে। প্রতি বছর প্রায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় শরিক হয়েছে ভারত।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সীমান্ত সমস্যার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো, আগামী সপ্তাহে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির ঢাকা সফর এবং জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।”
শ্রিংলা বলেন, “কোভিড-১৯ সংকটেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যে দেশ সফর করছেন সেটি হল বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশকে ভারত কেমন গুরুত্ব দেয় এ থেকে অনুধাবন করা যেতে পারে।”
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “প্রায় ৫০ মিনিটের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলমান সম্পর্কের এগিয়ে নিতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সীমান্ত আরও শান্তিপূর্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।”
এর আগে, মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সকালে ঢাকা পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করবেন হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ওইদিন দিল্লি ফিরে যাবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।