যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার ( ২৯ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে পালিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত। এবার করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদগুলোতে ইবাদতের নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশের বিভিন্ন মসজিদে নামাজিরা বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলে শামিল হয়েছেন।
নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করছেন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা আজ নফল রোজাও পালন করেছেন। মুসলমানদের বিশ্বাস, মহিমান্বিত এ রাতেই মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের ভাগ্য অর্থাৎ তার নতুন বছরের ‘রিজিক’ নির্ধারণ করে থাকেন।
রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগি, জিকির ছাড়াও পবিত্র এ রাতে মুসলমানরা মৃত বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সোমবার রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ মাহফিল, কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, হামদ, নাত, নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ এবং আখেরি মোনাজাত।
পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের এবাদত-বন্দেগির জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদ সারারাত খোলা রয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।