নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে পরীমনিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিবির উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ চয়নিকা চৌধুরীকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরীমনি ও রাজের মামলা আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি।’
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, পরীমনি ও চয়নিকা চৌধুরীকে ডিবি কার্যালয়ে মুখোমুখি করে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো তদন্তে আলোচিত এই পরিচালক ও নায়িকাকে মুখোমুখি করবে ডিবি।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরীমনির মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
গত জুলাই মাসের ৮ তারিখ ফেসবুকে রাজধানীর বোটক্লাবে তার ওপর নির্যাতনের কথা জানিয়ে আলোচনায় আসে পরীমনি। এরপর পরীর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে দেখা যায় চয়নিকাকে। এসময় পরী তাকে মা বলে সম্বোধন করেন।
পরীমনীরকে আটকের পর চয়নিকাকে পরীর সাথে সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করা হলে চয়নিকা বলেন, পরীর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানান, পরীর সাথে তার সম্পর্ক সম্পূর্ণটাই কাজের সুবাদে। তাদের মধ্যে শুধু কাজের ব্যাপারেই আলাপ হতো। এবং মাঝেমাঝে কাজের ব্যাপারে কথা বলার জন্যই তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো।
উল্লেখ্য, চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। ওই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। এই সিনেমার কাজের পর থেকে নায়িকা পরীমনির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।