জুন ১২, ২০২২, ১১:১৭ পিএম
চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে অন্তত ১১৮ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন।
একই সঙ্গে সংস্থাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশজুড়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা এবং সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমাদান ৮৯তম বারের মতো পেছানোসহ অব্যাহত সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত ৩ মাসে ৩ জন গণমাধ্যমকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৮ জুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রযোজক আব্দুল বারীকে রাজধানীর হাতিরঝিলের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে বুকে ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এর আগে ৬ জুন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার একটি পুকুর থেকে স্থানীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার প্রতিনিধি আবু জাফর প্রদীপের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়া ১৩ এপ্রিল কুমিল্লার স্থানীয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম বুড়িচং উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।
সংগঠনটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তিনটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
আর্টিকেল নাইনটিন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দেশজুড়ে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলার ৬২টি ঘটনা রেকর্ড করেছে। এসব ঘটনায় ১১৮ জন সাংবাদিক আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন। দেশের সচেতন নাগরিক, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর এসব ঘটনার প্রভাব ও ব্যাপকতা মারাত্মক, যা এরই মধ্যে একটি ভয়ের পরিবেশ ও সংস্কৃতি কায়েম করেছে বলে মনে করে সংস্থাটি।
আর্টিকেল নাইনটিন সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে হত্যাসহ নির্যাতন ও অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে সরকারের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, “বাস্তবতা হলো মতপ্রকাশের অধিকার ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী বলে চিহ্নিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার হচ্ছে অব্যাহত গতিতে। নিবর্তনমূলক ধারাগুলো সাংবাদিকদের হয়রানি করাসহ নানাভাবে অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার এবং প্রশাসনও অবগত। তাই কালক্ষেপণ না করে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আইনটির সংস্কার জরুরি।”