মে ৩০, ২০২২, ০৩:০১ এএম
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কাউকে নির্বাচন করতে পারেনি উপস্থিত থাকা নেতৃবৃন্দ। শীর্ষ দুই পদে ৩১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা নিয়ে অনড় থাকায় সম্মেলনে অংশ নেওয়া যুবলীগ চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হাটহাজারী সরকারি কলেজের বাণিজ্য ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনে কেন্দ্রীয় যুবলীগ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে বিকাল ৫টায় হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টার দিকে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করার পর সভাপতি পদে ৭জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৪ প্রার্থীর নাম তাদের নিজেদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রস্তাব ও সমর্থন করেন। এ সময় উত্তর জেলা যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির ৭১ জনসহ মোট ২৪৬ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
পরে একে একে শীর্ষ দুই পদের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। সাক্ষাত শেষ হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার মাধ্যমে নাম প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থীদের নির্দিষ্ট করে সময় দেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। তবে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনড় থাকায় কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে উপস্থিত থাকা কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনড় থাকায় যুবলীগ চেয়ারম্যান তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা একমত হতে পারলেন না কে হবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক। আমার ওপর আপনাদের আস্থা আছে? এ সময় হলভর্তি কাউন্সিলর ও প্রার্থীরা চিৎকার করে সমর্থন দেন। পরে ফিরতি কথায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘তাহলে শিগগিরই আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব, কে সভাপতি, কে সাধারণ সম্পাদক।”