`ফুল ফোটার আগেই ঝরে যাওয়া এক রক্ত গোলাপের কলি শেখ রাসেল’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০৮:৫১ পিএম

`ফুল ফোটার আগেই ঝরে যাওয়া এক রক্ত গোলাপের কলি শেখ রাসেল’

বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল আমাদের প্রেরণা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ফুল ফোটার আগেই ঝরে যাওয়া এক রক্ত গোলাপের কলি শেখ রাসেল। এই ফুল ঝরে না গেলে আজ গোলাপ হয়ে সুগন্ধ বের হতো। দেশ এবং সমাজ গঠনে বোন শেখ হাসিনার পাশে থেকে এক ইতিবাচক ভূমিকা রাখত। শিশু শেখ রাসেল আমাদের শক্তি, সাহস এবং প্রেরণা। শেখ রাসেলের আত্মদানের মধ্য দিয়েই আমরা শিশু অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অসহায়-দুস্থদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ভ্যানগাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যার পেছনে থাকা খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি জানিয়ে নানক বলেন, জেনারেল জিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সে কারণে শেখ রাসেলের জন্মদিনে দাঁড়িয়ে বলতে চাই বিভীষিকাময় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার তাদের বিচার করেছে এবং বিচারের রায় কার্যকর করেছে। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের খলনায়ক যারা তাদের মুখোশ এখনো উন্মোচিত হয়নি। তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচার করা আজ সময়ের দাবি।

ইতিহাসের ১৫ আগস্টের খলনায়ক খুনি জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করেছিল কজন সুশীলসমাজের ব্যক্তি, এমন প্রশ্ন রেখে নানক বলেন, যে সুশীলসমাজ আজ মানবাধিকারের কথা বলে। সেদিন শিশু শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু সপরিবারকে নির্মমভাবে হত্যার পরও কোনো সুশীলসমাজ তার নিন্দা করেনি, বিচারের দাবি জানায়নি। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যার পর খুনিদের রক্ষা করতে আইন পাস করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। সেদিন খুনি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। তার পরও কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি।

দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ-বিষয়ক উপকমিটির সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

Link copied!