সংকট কাটিয়ে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। বন্দরের সুবিধাদি বৃদ্ধির জন্য ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এদিকে, পদ্মা সেতু ও খুলনা-মোংলা রেলসেতু এবং রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাওয়ায় মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক দেশের শিল্প-বাণিজ্যের সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। এতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে গোটা বন্দর এলাকা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোংলা বন্দরের উন্নয়নে ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৩৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ সামনে রেখে আরও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।
বন্দরে আগত দেশি-বিদেশি জাহাজ চলাচল ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং জাহাজ পরিচালনার মাধ্যমে সরবরাহ করা পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য ১৬ মার্চ দ্য ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) উদ্বোধন করা হয়েছিল।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
এছাড়া সমুদ্রগামী জাহাজ, বন্দর অফিস এবং আবাসিক এলাকায় নিরাপদ পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দরে ১৩০ কিলোমিটার নৌ চ্যানেলে সাড়ে ৯ মিটার লম্বা জাহাজ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্দরের মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু ও রেললাইন চালু হলে বন্দরের কার্যক্রম আরও বাড়বে।
মোংলা বন্দরের হেড অব প্ল্যানিং জহিরুল হক বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে বন্দরকেন্দ্রিক অন্যান্য অবকাঠামোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ হবে। এর ফলে বন্দরের কার্যক্রম বহুগুণ বাড়বে।