ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ০১:০৭ পিএম
দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বার্থ কখনও কারো কাছে বিলিয়ে দেওয়া হবে না।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ স্লোগানে শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার বাবা রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আমি চারবারের প্রধানমন্ত্রী । দুর্নীতি করলে কখনও জনগণের উন্নয়ন করতে পারতাম না।” এসময় দেশের ভাবমূর্তি যেকোনা মূল্যে সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, “নিজের জীবন থাকতে দেশের স্বার্থ কারও কাছে বিলিয়ে দেব না। সরকারের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের স্বার্থ কারও কাছে বিলিয়ে দেয়া হবে না।’
যুদ্ধ ও স্যাংশন বন্ধ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করুন। আমরা শান্তি চাই। যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধ মানুষের অনেক ক্ষতি করছে।”
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাদার মাঝে লাল-সবুজ নৌকার ছাপ দেওয়া শাড়ি পরে ১০টা ২৫ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সময়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সব জেলার নেতাদের নিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
১০টা ৪০ মিনিটে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আধঘণ্টার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক।
দ্বিতীয় বা কাউন্সিল অধিবেশন হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। এতে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
এদিকে, মিছিল ও স্লোগানে মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশেপাশের এলাকাগুলো। লাল সবুজের টিশার্ট ও মাথায় ক্যাপ পড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কালীমন্দির গেট, দোয়েল চত্বর, চারুকলার বিপরীত গেট দিয়ে মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায় তাদের।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সারাদেশের সাংগঠনিক জেলা থেকেও আসেন নেতাকর্মীরা।