বিশ্বের সবচেয়ে দুঃখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম স্থানে রয়েছে। আর এ তালিকায় শীর্ষে আছে এশিয়ার আরেক দেশ আফগানিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ সংস্থা গ্যালাপ বিশ্বের ১২২টি দেশের এক লাখের বেশি মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে সোমবার এই ফল প্রকাশ করেছে।
জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচকে স্কোর উচ্চতর হলে বোঝায়, দেশের জনসংখ্যার বড় অংশ এ ধরনের আবেগ অনুভব করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা অনেক বেশি উদ্বেগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা ২০২০ সালের তুলনায় দুই শতাংশ বেশি।
এতে আরও বলা হয়, নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই বুঝতে হবে কেন অনেক মানুষ অভূতপূর্বভাবে নেতিবাচক আবেগ অনুভব করছে এবং তাদেরকে অত্যন্ত ইতিবাচক জীবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
এই অসন্তুষ্টির কারণ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক অসন্তুষ্টির উত্থানের পেছনে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো—দারিদ্র্য, একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে নেতিবাচক পারিপার্শ্বিকতা, ক্ষুধা, একাকীত্ব ও কাজের সুযোগের অভাব।
এতে আরও বলা হয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জন শারীরিক জটিলতা (৩১ শতাংশ), চার জনের মধ্যে একজনেরও বেশি মানসিক অবসাদ (২৮ শতাংশ) ও রাগ (২৩ শতাংশ) অনুভব করে।
অন্যদিকে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চাপ অনুভব করেন আফগানিস্তানের জনগণ। দেশটির নেতিবাচক সূচক স্কোর ৩২; যা ১৬ বছর আগে গ্যালাপের জরিপ শুরু করার পর থেকে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, ইতিবাচক সূচক স্কোর ৮৫ পেয়ে সবচেয়ে কম চাপের দেশ নির্বাচিত হয়েছে পানামা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে কিছুটা দুঃখ, উদ্বেগ এবং চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে লোকজন সেই তুলনায় কিছুটা কম রাগান্বিত ছিলেন।
গ্যালাপের পজিটিভ ইমোশনস সূচকে সর্বোচ্চ ৮৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে আছে পানামা। এছাড়া পজিটিভ ইমোশনস সূচকে ইন্দোনেশিয়া ও প্যারাগুয়ে যৌথভাবে ৮৪ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পাশাপাশি ইতিবাচক আবেগের এই তালিকায় এল সালভাদর, নিকারাগুয়া ও হন্ডুরাসও যৌথভাবে ৮২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় এবং আইসল্যান্ড, ফিলিপাইন ও সেনেগাল ৮১ স্কোর পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।