বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এর একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ নামক একটি যন্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) স্বল্প পরিসরে যন্ত্রটি উৎপাদন ও প্রয়োগের অনুমতি দিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর আগেই বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ অক্সিজেট ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
অনুমোদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অক্সিজেট উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়া বুয়েটের জৈবচিকিৎসা প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান।
অনুমোদন পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে ২০০ ইউনিট অক্সিজেট উদ্ভাবন ও প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছি। আরও কিছু পর্যায় আমাদের অতিক্রম করতে হবে। কর্তৃপক্ষ আমাদের ট্রায়াল চালিয়ে যেতে বলেছে। যেহেতু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আবেদন করেছি, তাই আমরা স্বল্প পরিসরে অনুমোদন পেয়েছি। কোনো কোম্পানির অধীনে হলে, পরিমাণটা আরও বাড়ত। তবে আমরা কোম্পানির অধীনে আবেদন না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আবেদন করাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
জানা গেছে, এ যন্ত্রের মাধ্যমে তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদেরও হাসপাতালের সাধারণ বেডে রেখেই উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন সহায়তা দেওয়া যাবে। যন্ত্রটির উৎপাদন খরচও খুব বেশি নয়।
অক্সিজেট যন্ত্রটি কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াই সাধারণ ওয়ার্ডে মিনিটে ৬০-৬৫ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে সক্ষম। একটি সম্পূর্ণ অক্সিজেট ব্যবস্থা স্থাপন করতে খরচ হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যা হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। অন্যদিকে একটি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার সর্বনিম্ন খরচ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। দুই ধাপে ট্রায়াল চালিয়ে যথেষ্ট সফলতাও পাওয়া গেছে অক্সিজেটের।