মোদিকে দেশে এনে প্রধানমন্ত্রী 'অশ্বডিম্ব' পেয়েছেন: জাফরুল্লাহ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৯, ২০২১, ০৬:৪৮ পিএম

মোদিকে দেশে এনে প্রধানমন্ত্রী 'অশ্বডিম্ব' পেয়েছেন: জাফরুল্লাহ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশে এনে সরকার  'অশ্বডিম্ব' পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, নরেন্দ মোদিকে দেশে এনে প্রধানমন্ত্রী  'অশ্বডিম্ব' পেয়েছেন।

তিনি সরকারকে উদ্দেশে করে বলেন, ‘আপনারা বার বার ভুল পথে হাঁটছেন। বঙ্গবন্ধুকে আপনারাই বেশি ছোট করেছেন। ওমানের বাদশাহ’র সাথে শেখ মুজিবকে গান্ধী পুরস্কার দেওয়ার সমলোচনা করে তিনি বলেন, এটা অবমাননাকর।’

সোমবার ৯২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত 'কণ্ঠরোধ, হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংহতি সভা' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জুর সঞ্চালনায় ওই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে আমার দেশের মানুষ ভালোবাসে, তাকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি। দুই-চার জন যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালো নাও বাসে, তাকে অপমান করার অধিকার কারো নেই, তাকে উপহাস করার অধিকার কারো নেই।’ 

বঙ্গবন্ধুকে ভারতের গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কারের মূল কথা হলো, একজন জীবিত ব্যক্তির বিগত ১০ বছরের কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিয়োগান্ত মৃত্যুর ৪৬ বছর পর তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এমন প্রহসনের মানে কী? বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গান্ধী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ওমানের বাদশাকেও। বঙ্গবন্ধুকে কোথায় নামিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আজ গান্ধী পুরস্কার দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে আরেকবার হত্যা করা হলো। গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে উপহাস করার অধিকার নরেন্দ্র মোদির নেই। ওমানের বাদশার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তুলনা অত্যন্ত লজ্জা এবং ন্যক্কারজনক। মনে রাখা দরকার, এই গান্ধী শান্তি পুরস্কার আজ থেকে ২১ বছর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনুস পেয়েছেন।’

গণস্বাস্থ্যের এ ট্রাস্টি দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সামনে শুভদিন আসছে। এই সরকার সহসাই জনগণের ক্ষোভে জ্বলে পুড়ে যাবে। হত্যা, নির্যাতন ও জুলুমের বিরুদ্ধে তিনি সবাইকে সম্মিলিতভাবে রাজপথে আসার আহ্বান জানান।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভা থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবাই মিলিতভাবে শোকদিবস এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের জন্য একটি শোকযাত্রা ঢাকা শহর প্রদক্ষিণ করার ঘোষণা দেন।

প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ ইবরাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ।

Link copied!