মার্চ ১৯, ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম
বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বদনাম করাই একটা শ্রেণির অভ্যাস বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের বদনাম করে, প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তারা কেন এগুলো করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
র্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (১৯ মার্চ) ‘নিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থায়’ স্লোগান নিয়ে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় তারা এই বদনাম করে কিছু একটা সুবিধা পায়। অথচ, দেশবিরোধী এই শক্তি দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না।
সরকারপ্রধান বলেন, র্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে র্যাব সদস্যরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জঙ্গি দমনে র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি দেশ র্যাবের ওপর স্যাংশন দিয়েছিল। এতে অনেকেই প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এখানে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ এটা আমাদের দেশ। কেউ অপরাধ করলে সেটা আমরা নিজেরাই বলব। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। নিজের আত্মমর্যাদা বোধ নিয়ে চলতে হবে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স হিসেবে ঘোষণা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গিবাদ কখনও কোনো দেশের উন্নতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, মাদক, অগ্নিসন্ত্রাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জঙ্গিবাদ দমনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে র্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। পাহাড়েও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে র্যাব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ধরতে সক্ষম হয়েছে। র্যাব মানুষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধেও আমাদের যথাযথ সতর্ক থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। র্যাবসহ আমাদের সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি মানুষের কল্যাণের জন্য, অকল্যাণের জন্য নয়। এই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের আরেকটা বোঝা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। প্রতিনিয়ত সেখানে নানা ধরনের অপরাধ ঘটছে। এ ব্যাপারেও সকলের আরও নজর দিতে হবে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে।