রোহিঙ্গা সমস্যা: নিরাপত্তা পরিষদের 'জরুরি পদক্ষেপ' চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৬, ২০২১, ১২:২৪ পিএম

রোহিঙ্গা সমস্যা: নিরাপত্তা পরিষদের 'জরুরি পদক্ষেপ' চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন মঙ্গলবার (১৫ জুন) আয়োজিত ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি: সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের অবস্থা’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের ঘাটতির কথা তুলে ধরে আব্দুল মোমেন বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী তাদের দায়বদ্ধতা পরিপালন করবে বলে তিনি আশা করেন। তাঁর প্রত্যাশা, নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে অনতিবিলম্বে ও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নিজভূমিতে নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যেতে পারে।

ভার্চুয়াল এই আলোচনায় সহ-আয়োজক ছিল জাতিসংঘে কানাডা, সৌদি আরব ও তুরস্কের স্থায়ী মিশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট’। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা আলোচনা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি ভলকান বজকির উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে সাম্প্রতিক তাঁর কক্সবাজার সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি বব রে, তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি ফেরিদুন হাদি সিনির লইয়োগো, জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা অ্যালিস ওয়াইরিমু নেডিরিটু, মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ, জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের উপস্থায়ী প্রতিনিধি এবং রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট ও উইমেন পিস নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক ওয়াই ওয়াই নু। প্যানেল আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্টের নির্বাহী পরিচালক সায়মন অ্যাডাম।

আলোচকেরা রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে তাঁদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের মানবীয় উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা। সবাই এ সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানের কথা বলেন। তাঁরা উল্লেখ করেন, এ সমস্যার শিকড় মিয়ানমারে নিহিত। প্যানেল আলোচকেরা মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে দায়বদ্ধতা নিরূপণের চলমান প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানান। জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র, সুশীল সমাজসহ অন্যান্য অংশীজন এ ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।

Link copied!