প্রতীকী ছবি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা-বাগানে সেপটিক ট্যাংকে নেমে চারজন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাস নিতেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন—রানা নায়েক (১৭), শ্রাবণ নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)। তারা সবাই হরিণছড়া চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারের সন্তান। দুর্ঘটনাটি ঘটে রাত আনুমানিক ১টার দিকে।
আহত যুবকের নাম রবি বুনার্জী (২০)। তাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সিলেটে পাঠানো হয়।
নিহতদের পরিবার ও মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চারজনকে রাতেই হাসপাতালে আনা হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে আহত রবিকে নিয়ে আসা হলে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটে রেফার করা হয়।
নিহতদের স্বজনরা জানান, একটি মোবাইল ফোন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে গেলে এক তরুণ তা তুলতে নামেন এবং সাথে সাথেই অচেতন হয়ে পড়েন।
তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে একজন করে আরও তিনজন ট্যাংকে নামেন এবং সবাই অচেতন হয়ে যান। পরে পঞ্চম একজন নিচে নামলে তাকেও অচেতন অবস্থায় টেনে তোলা হয় এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ ফয়সাল জামান জানান, রাতের মধ্যে মোট পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে চারজন আগেই মারা গিয়েছিলেন, একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাত দেড়টার দিকে হরিণছড়া চা-বাগানে সেপটিক ট্যাংকে নেমে চারজনের মৃত্যুর খবর পান তারা। বর্তমানে ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।