ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ কিমার যন্ত্র ব্যবহার করে কুচি-কুচি করা হয়েছিলো বলে দাবি করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।
তদন্তকারীদের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ঘটনায় আটক সিয়াম হোসেন কলকাতার নিউ মার্কেটের একটি দোকান থেকে ২২০০ টাকা দিয়ে ওই যন্ত্র কিনেছিলেন। প্রমাণ লুকানোর জন্যই কিমা করার ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই সূত্রের দাবি।
ভারতীয় সিআইডির দাবি, ওই যন্ত্রে পুরো দেহ কিমা করা যায়নি। তাই ছোট ছোট খণ্ড করে তা ফেলা হয়েছিল নিউ টাউনের ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় পাঁচ কেজি পরিমাণ মাংসখণ্ড উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
খুনের পর এমপি আনারের দেহের ছবি তুলে তা বাংলাদেশের কয়েকজনকে পাঠিয়েছিল ঘাতক আমানুল্লাহ। মৃতদেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায় সেজন্য কিমা এবং খণ্ড করা মাংস সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার পর হাড়গুলো ফেলা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে।
তদন্ত চালাতে গিয়ে সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি ওই স্থান থেকে মানুষের হাড় উদ্ধার করেছে। সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতায় যান। এর পরের দিন ১৩ মে খুন করা হয় তাকে। ১৪ মে ভাড়া গাড়িতে করে প্রথম পর্যায়ে সংসদ সদস্যের দেহাংশ ফ্ল্যাট থেকে বের করে একটি স্যুটকেসের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।