গাজীপুরের পর এবার নীলফামারীর ডোমারে রেললাইনের ফিশপ্লেট ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ফিশপ্লেট ক্লিপ খোলার শব্দে এলাকাবাসী টের পেলে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্তঃনগর ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম জানান, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের বাগডোকরা গ্রামের হীরালাল রেলঘুন্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মেরামতের জন্য ডোমার-চিলাহাটি পথে প্রায় দেড় ঘণ্টা সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
বোড়াগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমন বলেন, ‘রাতে ওই এলাকায় রেললাইনের লোহা-লক্কড় খোলার শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় তারা এগিয়ে গিয়ে দেখেন একদল হরতাল সমর্থক রেললাইনের ফিশপ্লেট ও পিন খুলছে। এ সময় এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় তারা। পরে তাদের ফেলে যাওয়া একটি বস্তা থেকে ৭২ পিস ফিশপ্লেট ক্লিপ উদ্ধার হয়।’
ওই গ্রামের রাজেশ্বর রায় (৩০) বলেন, “ঘটনার পর চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসছিল। তখন ঘটনাস্থলে তিন থেকে চারশ লোক উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই বিভিন্নভাবে সংকেত দিতে থাকলে ট্রেনটি থেমে যায়। এতে করে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।”
জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখোয়াৎ হোসেন বাবু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের সীমানায় ঘটনাটি ঘটেছে। আমি গিয়ে রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে ফিসপ্লেট ক্লিপ খোলা দেখতে পেয়েছি। এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। তা নাহলে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে যেত।”
এদিকে খবর পাওয়ার পরপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম।
তিনি বলেন, “কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। কিন্তু বিষয়টি তদন্ত করবে পুলিশ ও রেলওয়ে গোয়েন্দা বিভাগ ”
তিনি আরও বলেন, “একই সাথে আমরা রেলওয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি তাদের বক্তব্য শুনে তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে বলবে, আমরা তাদের সাথে সেভাবে নিরাপত্তার সহযোগিতা দিব।”
“বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে”, বলেও জানান রেলের এই কর্মকর্তা।