মার্চ ১, ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন বুয়েটের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী লামিসা। তার বাবা নাসিরুল ইসলাম পেশায় এডিশনাল ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত আছেন। ২০১৮ সালে স্ত্রীকে হারিয়ে দুই সন্তানকে নিয়েই ছিল নাসিরুলের পুরো পৃথিবী। বেইলি রোডের ভয়াবহ অগুনে চলে গেলো সেই বুকের মানিকও।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে, বই মেলা থেকে বান্ধবীদের সাথে বেইলি রোডে কাচ্চি খেতে গিয়েছিলেন লামিসা। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে লামিসা তার বাবাকে ফোন দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইলে বার বার চেষ্টা করা হলেও বন্ধ দেখায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কন্যার মৃত্যুশোকে নিথর হয়ে পড়েছেন নাসিরুল ইসলাম।
ঢাকার অফিসার্স কোয়ার্টারে দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন নাসিরুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লায় নিয়ে যাওয়া হয় এই শিক্ষার্থীর লাশ। তাদের একতলা বাড়ির সামনে টানানো হয়েছে লাল-নীল শামিয়ানা। চারিদিক থেকে মানুষ এসে ভিড় করছে লামিসাকে শেষবারের মতো দেখতে। এমন ঘটনায় নিশ্চুপ স্বজনেরা।
ফ্রিজিং ভ্যানে রাখা লাশটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নাসিরুল ইসলাম। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে, জীবনে যা যা পেয়েছেন তার থেকেও অনেক বেশি হারানোর শোক তার দু চোখে। স্ত্রী মারা যাবার পর থেকে দুই সন্তানকে একাই লালন করছিলেন তিনি। সান্তনা দিতে এসময় তাঁকে ঘিরে আরও অনেকেই বসে ছিলেন।