রাজধানী ঢাকার দুই থানায় করা পৃথক মামলায় বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে জামায়াতের একজনকে দিয়েছেন দুই বছর কারাদণ্ড। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রাজধানীর বংশাল থানায় দশ বছর আগে করা এক মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে ৬ মাসের এবং দক্ষিণখান থানায় ২০১৮ সালে করা এক মামলায় বিএনপির ৩৮ জন নেতাকর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নাশকতার অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় জামায়াতের একজনের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ দুই মামলাসহ গত তিনমাসে ৩৭ মামলায় বিএনপির ৭১১ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে নভেম্বর মাসে ৩০ মামলায় ৫৭৫ জনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় পলাতক থাকা আসামিদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইসহাক আলী সরকার, মো. মোহন, রফিকুল ইসলাম, ডলার ইকবাল, মো. শাজাহান, আব্দুল করিম, সিরাজ শেখ ওরফে বাঙাল সিরাজ, মোহাম্মদ মাসুম, মো. বেলাল হোসেন, রাজু আহমেদ, আব্দুর রহমান ওরফে বোমা রহমান, মোহাম্মদ সেন্টু, মো. ফারুক, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, জুবায়ের আলম ও কামরুল ইসলাম।
২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে বংশাল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।
এদিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার মামলায় বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মীকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল আলীম, শাহিন মিয়া, মো মামুন, শামসুল হক রিপন, রুম্মন সিদ্দিকি, শাহীন, রাজীব, সমোয়ার হোসেন, মো. দুলাল মিয়া, নুরুজ্জামান হাওলাদার সোহেল, আনোয়ার হোসেন বকুল, মো. কামাল হোসেন, শাহ আলম, দীন ইসলাম, মো. আব্দুর রহিম বাদশা, রিপন সরকার, আবু বকর সিদ্দিক, ছোকন মেম্বার, আলী হোসেন, মোতালেব হোসেন রতন, শহিদুল ইসলাম, মো. ইয়াকুব আলী, মো. মোকলেস, মমতাজ উদ্দিন, মো. শেখ নূর মোহাম্মদ, মো. হারুন অর রশিদ হারুন, মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, মো. তোফাজ্জল হোসেন মিঠু, সরকার রফিকুল ইসলাম মুকুল, মো. গোলাম মোস্তাফা, মো. মোজাফফর হোসেন বাদল, মো. জাকির হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী, মো. সফিল উদ্দিন, মো. শরীফ হোসেন, রিপন মিয়া, মো. লুৎফর রহমান খোকন।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে দক্ষিণখান থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে।
ওদিকে দশ বছর আগে কাফরুল থানা এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা একটি মামলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিমের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার তিন হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম এ রায় দেন।