অক্টোবর ২, ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ এক নারী পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন।
পরিবারের অভিযোগ, সুদের টাকা নিয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই নারীর হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দগ্ধ নারীর মৃত্যুর পর সেই সুদের ব্যবসায়ীর বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
বুধবার রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ আলম।
মারা যাওয়া শাহানাজ বেগমের (৩৮) স্বামী আমিনুল খান বলেন, সুদের টাকা পরিশোধ ও স্ট্যাম্প দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে সুদের ব্যবসায়ী নাছিমা বেগমের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই তাদের বিরোধ চলছে।
“এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে আমার স্ত্রীকে কয়েক দফা মেরেছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে আমার স্ত্রীকে পিছন দিক থেকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
আমিনুল বলেন, তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানেই পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার দুপুরে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
এদিকে শাহনাজ বেগমের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে ক্ষুব্ধ জনতা নাসিমা বেগমের দুইটি ঘরে লুটপাট চালায় এবং আধাপাকা একটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে জানিয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার কামরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে।
এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ্ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, “গৃহবধুর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে তার মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেছিলেন। সে মামলায় এর মধ্যেই নাছিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“এছাড়া নাছিমা বেগমের ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”