পূর্বঘোষিত পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নিয়ে ফরিদপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে হাজির হয়েছেন কৃষক রেজাউল খান (৩২)।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর রোববার (২৩ জুন) সাপটির প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে বন বিভাগে যান তিনি। কিন্তু বন বিভাগ সেটা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সাপটি নিয়ে আসা কৃষক রেজাউল ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলে। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “ফসলি জমি চাষের সময় রাসেলস ভাইপারটা দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকে নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর ফরিদপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে সাপটি নিয়ে আসি।”
ফরিদপুর পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন বলেন, “সাপ ধরার বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।”
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া বলেন, “আমি আইনগত প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে পারি না। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন বিভাগে অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেল ভাইপার জমা দেয়া চেষ্টা করছে। এটা নিয়ে আমরা বিপদের মুখে পড়েছি।”
গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় ফরিদপুরে প্রতিটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারার বিপরীতে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ পিয়ারের সই করা সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরতে পারেন তবে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আগের বক্তব্যটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।