প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের আগুনের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করেছে কি না তা তদন্তের পর বলা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর সকালে সচিবালয়ের সামনে তিনি বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই আগুনের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা নাশকতা দেখছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা ইনভেস্টিগেশনের আগে আমি তো বলতে পারব না। ইনভেস্টিগেশনের পরে আপনাদের আমরা জানাব।”
বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন ধরে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ৮টা ৫ মিনিটে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়ন পানির লাইন দিতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নয়নের মৃত্যু হয়।
সচিবালয়ের মতো এতো সুরক্ষিত জায়গায় কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটল, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “অ্যাক্সিডেন্ট তো সব জায়গায় হতে পারে, এজন্য তো অ্যাক্সিডেন্ট বলে।
“সচিবালয়ের ভেতরেও তো হতে পারে। এজন্য তো সচিবালয়ের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রাখা হয়।”
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল ব্রিফিংয়ে বলেন, “সচিবালয়ের আগুন লাগার কারণ সম্ভবত ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ছিল। এক জায়গা আগুন ধরলে বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে সব জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। এটা হতে পারে।
“কিন্তু প্রাথমিক কারণ এখনও আমরা বের করতে পারি নাই। আগুন নেভানোর পর আমরা যখন সব জায়গা তল্লাশি করব, তখন আপনাদেরকে বলতে পারব।”
আগুনের উৎসের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কিছু জানিয়েছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তদন্তের পরে বলা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে নাশকতা মনে করছেন কি না? জাহাঙ্গীর আলমের জবাব, “প্রাথমিকভাবে আমরা বলতে পারব না। এটা ইনভেস্টিগেশনের পরে বলতে পারব।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এ ঘটনায় আমাদের একজন ফায়ার ফাইটার নিহত হয়েছেন। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। একটা পাইপ নিয়ে সচিবালয়ের দিকে আসছিলেন, রাস্তা পার হচ্ছিলেন, এ সময় একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়।
“তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পর মারা যান। এছাড়াও আরও দুই তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন।”