ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় একটি মন্দিরে আগুনের ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও পিটুনিতে পাশের একটি স্কুলের নির্মাণকাজে থাকা দুই শ্রমিকের প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।
আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁদের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। হতাহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
জানা যায়, পঞ্চপল্লী কালীমন্দিরে একটি প্রতিমা আগুনে পুড়ে গেছে। এর পাশে একটি নছিমন গাড়িতে আগুন জ্বলছে। তার পাশেই অবস্থিত পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের জন্য এর একটি কক্ষে নির্মাণশ্রমিকেরা থাকতেন। মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে সাত শ্রমিককে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে। ওই কক্ষে রক্তের দাগও দেখা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মধুখালী থানা-পুলিশ। তারা আহত শ্রমিকদের উদ্ধারের সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরও হামলার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে ফাঁকা গুলি চালিয়ে আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়।
ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনা শোনার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিমার গায়ের কাপড় পোড়া অবস্থায় দেখতে পাই। তবে ততক্ষণে এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে যাওয়ায় তাদের নিবৃত করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা আমি প্রথমে ইউএনও এবং ওসিকে জানাই। তারা এসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে জানানোর পর তারা এসে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আহত ওই সাত শ্রমিককে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।